হ্যালো বন্ধুরা, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আপনি যেহুতু আমাদের চীনের দর্শনীয় স্থান পোস্টটিতে কিল্ক করেছেন। এর মানে আপনি চীনের দর্শনীয় স্থান সর্ম্পকে জানতে আগ্রহি। চিন্তার কোনো কারণ নেই, আজকের এই আর্টিকেল এ আমরা চীনের দর্শনীয় স্থান সর্ম্পকে পুরোপুরি জানার চেষ্টা করব। তবে চলুন শুরু করা যাক।
চীন অনেক বড় একটি দেশ, যার স্থলভাগের আয়তন প্রায় ৯৬,০০,০০০ কিমি। আয়তনের সাথে সাথে চীনে অনেক মানুষের বসবাস। চীন এশিয়া মহদেশের অনেক প্রাচীন একটি দেশ। দেশটি যেমন প্রাচীন, তেমনই অসম্ভব সুন্দর সুন্দর দর্শনীয় স্থান রয়েছে। মূলত চীনে বোশষ ধর্ম, সাংস্কৃতিক প্রথা এবং বড় বড় উৎসব খুব প্রচলিত। চীন একটি মজাদার খাবার দেশ এবং সেখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বেশ কিছু স্থান রয়েছে। আজকের আর্টিকেল এ আমরা চীনের দর্শনীয় স্থান সম্পকে আলোচনা করব।
গ্রেট ওয়াল অফ চাইনা
আমরা যারা চীন দেশটি সম্পকে আবগত তাদের মধ্যে থেকে অনেকেই গ্রেট ওয়াল অফ চাইনা এই শব্দের সাথে পরিচিত। “গ্রেট ওয়াল অফ চাইনা” চীনের একটি বিশেষ সংরক্ষিত স্থান। এটি চীনের একটি প্রাচীর। যা ইঁট, পাথর, কাঠ দিয়ে বানানো হয়েছে । এই প্রাচীরের দৈর্ঘ্য প্রায় ২১,১৯৬.১৮ কিলোমিটার এবং তা চওড়ায় প্রায় ৩২ ফুট বানানো হয়েছিল। সাধারণত, চীনের প্রথম রাজা ( সম্রাট কিন সি হুয়াং ) তার রাজ্যকে শত্রুদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য এই প্রাচীরটি বানিয়েছিল। বলে রাখা ভাল যে ”গ্রেট ওয়াল অফ চাইনা” বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রচীর এর মধ্যে একটি। চায়নার মধ্যে পর্যটনদের জন্য বিষেশ একটি জায়গা হল এই ”গ্রেট ওয়াল অফ চাইনা” ।
ফরবিডেন সিটি
চীনের বেইজিং শহরে অবস্থিত Forbidden City , যা নিষিদ্ধ শহর নামে পরিচিত। এই শহরের নামটা নিষিদ্ধ শহর হলে ও এই শহরে পর্যটনদের অভাব নেই। চীনের অনেক বড় একটি পর্যটন এলাকা হল Forbidden City ( নিষিদ্ধ শহর )। নিষিদ্ধ শহর নাম হওয়ার কারনে সবার অনেক বেশি আগ্রহ জাগে এই শহরে যেতে। যাবেই না কেন এখানে রয়েছে প্রায় ৯০ টির ও বেশি প্রসাদ, যা দেখার জন্য বিভিন্ন দেশ থেকে অনেক মানুষ এখানে ঘুরতে আসেন। এছুড়া এখানে আরও কিছু পার্ক রয়েছে, যা অনেক দর্শনীয়।
Also read –
সাংহাই
সাংহাই হল চীনের একটি মহানগর। চীনের মধ্যে কোনাকাটা করার জন্য সাংহাই মহানগরটি বেস্ট চয়েস। এখোনো অনেকের কাছে শুনা যায় সাংহাই হল কেনাকাটার স্বর্গ। এখানে বিভিন্ন বাণিজ্য সড়ক, বিশাল বিশাল মার্কেট, এবং প্রায় এক’শ বছরের পুরোনো নকশার দোকান রয়েছে। যা তরুনীদের কাছে অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সাংহাই অনক বড় একটি শহর। ঘুরে বেড়ানোর জন্য সাংহাই অন্যরকম একটি জায়গা। যারা চীনে ভ্রমণ করার চিন্তা ভাবনা করছেন, তারা একবার হলেও সাংহাই এসে ঘুরে যাবেন। শুধুমাত্র সাংহাই শহরে ঘুরে বেড়ানোর জন্য অনেক পর্যটন এখানে আসেন।
জিয়াংসু
চীনের আরেকটি পর্যটন এলাকার নাম হল জিয়াংসু। জিয়াংসুতে অনেক সুন্দর সুন্দর জায়গা রয়েছে, যা পর্যটনদের কাছে অনেক জনপ্রিয়। জিয়াংসুতে কিছু নদী আছে যা দেখতে অনেক দর্শনীয়। জিয়াংসু শহরের অন্যতম আরেকটি লেক হল স্লান্ডার ওয়েস্ট। যা দিন দিন পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণীয় একটি স্থান হয়ে উঠেছে । নদীর সাথে সাথে এখানে কিছু বাগান রয়েছে যা ইয়াংঝু উদ্যানের একটি প্রদর্শন।
তুংকুয়ান
তুংকুয়ান দক্ষিণ চীনের কুয়াংতুং প্রদেশে একটি শহর। তুংকুয়ান অনেক প্রাচীন একটি শহর। প্রায় ৫,০০০ বছর আগে থেকে এই অঞ্চলে মানুষ বসবাস করে আসছে। এই তুংকুয়ান শহরটি অনেকটা পাহাড়ী এলাকা এবং সমতল ভূমি নিয়ে আবস্থিত। তুংকুয়ান পাহাড়ী এলাকা হওয়ার কারনে এখানে অনেক পর্যটনদের আভাষ পাওয়া যায়। তুংকুয়ান কিছুটা পাহাড়ী এলাকা হলেও অনেকটাই যান্ত্রিক এলাকা। সাধারণত, তুংকুয়ান বিশ্বের সবচেয়ে গতিশীল শহরগুলোর ১৮ নাম্বারে বর্তমানে অবস্থান করছে। কুয়ানাইন পর্বত, হুয়েন সেতু তুংকুয়ান এর সবচেয়ে সুন্দর দর্শনীয় স্থান।
আমাদের শেষ কথা-
আশা করি আমরা আপনাদের চীনের দর্শনীয় স্থান সর্ম্পকে বুঝাতে সক্ষম হয়েছি। আজকের আর্টিকেল টি যদি আপনাদের ভাল লেগে থাকে, তাহলে অব্যশই একটি কমেন্ট করে যাবেন। এবং চীনের দর্শনীয় স্থান সর্ম্পকে যদি আরো ও জানতে হলে আমাদের ফলো করতে পারেন। এছাড়া আপনি যদি টেক লাভার হয়ে থাকেন তাহলে এই ওয়েবসাইট Tech Plex থেকে ঘুরে আসতে পারেন। ধন্যবাদ