হ্যলো বন্ধুরা, আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আপনি যেহুতু আমাদের ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম আর্টিকেল এ কিল্ক করেছেন, তার মানে আপনি ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম এর সর্ম্পকে জানতে আগ্রহী। চিন্তার কোনো কারন নেই আজকের আর্টিকেল এ আমরা ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব। তবে চলুন শুরু করা যাক-
আজকাল ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করা খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। অনেকে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে তার মাধ্যমে অনলাইন থেকে টাকা উপার্জন করে থাকে। আমরা ও চাইলে একটি ওয়েবসাইট কে কাজে লাগিয়ে অনলাইন থেকে টাকা জেনারেট করতে পারি। ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম অনেক ভাবে টাকা আয় করা সম্ভব। যেমন ই–কমার্স, ব্লগিং, সার্ভিস, প্রমোশন, অ্যাফিলিয়েশন, প্রোডাক্ট রিভিউ, মুভি রিভিউসহ আরো অনেক উপায়ে টাকা ইনকাম করা যায়। আজকের আর্টিকেল এ আমরা সেগুলো নিয়েই আলোচনা করব।
বর্তমান সময়ে একটি প্রফেশনাল ওয়েবসাইট তৈরি করা কয়েক ঘন্টার ব্যাপার । এখন কথা হল আমি তো ওয়েবসাইট বানাতে পারি না, তাহলে আমি এখন কি করব? চিন্তার কোন কারণ নেই ভাই। মাত্র কয়েক ঘন্টা খরচ করে মুহূর্তেই একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে ফেলা যায়। এখন ভাবছেন কি ভাবে করব? আমি বলি বর্তমানে AI (Artificial intelligence) এর যুগে একটা ওয়েবসাইট বানানো পান্তাভাতের মত হয়ে গেছে। আপনি কিভাবে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন তা লিখে জাস্ট YouTube এ একটি সার্চ করুন, হাজারো টিউটোরিয়াল এসে হাজির হবে।
আপনার যদি সেইটুকু ও ধৈর্য্য না থাকে তাহলে সরাসরি WordPress গিয়ে জাস্ট একটি ডেমো থিম ইনস্টল নিন । ঘন্টা খানিক টাইম দেন WordPress এর পিছনে দেখবেন সব বুঝতে পারছেন। ব্যাস হয়ে গেল আপনার একটি ওয়েবসাইট। ধরে নিলাম, এখন আপনার একটি ওয়েবসাইট আছে। একটি ওয়েবসাইটকে কাজে লাগিয়ে কীভাবে টাকা আয় করবেন, তা নিয়ে বিস্তারিত বলার চেষ্টা করছি।
ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করার উপায়-
১। বিজ্ঞাপন দ্বারা আয় (Google AdSense)
অনলাইনে আয় করার সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হলো এডভার্টাইজিং। এডভার্টাইজিং এর মাধ্যমে খুব সহজে একটি ওয়েবসাইট থেকে আয় করা যায়। আপনার ওয়েবসাইট এ যদি অনেক বেশি ভিজিটর থাকে, তাহলে আপনি আপনার ওয়েবসাইটে এডভার্টাইজিং দেখায়ে একটি প্যসিভ ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন। আপনার ওয়েবসাইটে যদি ভিজিটর না থাকে তাহলে আপনার কোনো ইনকাম হবে না । তাই এডভার্টাইজিং এর মাধ্যমে ইনকাম করতে চাইলে রেগুলার কনটেন্ট আপডেট করতে হবে এবং কনটেন্ট মার্কেটিং করতে হবে।
২। এফিলিয়েট মার্কেটিং
এফিলিয়েট মার্কেটিং হল একটি পারফরম্যান্স-ভিত্তিক বিঙ্গাপন কৌশল যেখানে কোন একটি কোম্পানির পণ্য বা কোম্পানির পণ্য গুলো বিভিন্ন সোসাল মিডিয়ার মাধ্যমে মার্কেটিং করে পন্য গুলোর পাবলিসিটি করে দেওয়াই হল এফিলিয়েট মার্কেটিং । এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আপনি সহজেই অনলাইন থেকে টাকা উপার্জন করতে পারবেন । এফিলিয়েট মার্কেটিং করার সবচেয়ে বড় সুবিধা হল আপনি নিজের পছন্দ মত পণ্য প্রচার করতে পারবেন। নিজের একটি ওয়েবসাইট খুলে অন্যর পণ্য বিক্রি করে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন। এবং আপনি যদি পণ্য বিক্রয় করতে পারেন তাহলে আপনি সেখান থেকে ভাল একটি অংশ কমিশন পাবেন। এটি খুব সহজ এবং প্রফিটেবল। বিভিন্ন এফিলিয়েটরা তাদের ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করছে।
Related Post
৩। ই-কমার্স বিজনেস
আপনার যদি একটি ওয়েবসাইট থাকে তাহলে আপনি সেখানে ই-কমার্স ব্যবসা করে অর্থ উপাজন করতে পারবেন। বর্তমানে এটি দেশে বিদেশে খুবই জনপ্রিয় একটি ব্যবসায় রুপ নিয়েছে। ই-কমার্স এর মাধ্যমে আপনি অনলাইনে আপনার পণ্য বিক্রয় করতে পারবেন। এর জন্য আপনার কোন সরঞ্জাম থাকর প্রয়োজন হবে না। শুধুমাত্র একটি ডোমেইন হোস্টিং প্ল্যান থাকলেই হবে।
তবে, ই-কমার্স ব্যবসা চালানো একটি জটিল প্রক্রিয়া। সঠিক মার্কেটিং প্ল্যান না থাকলে আপনার কোনো পণ্য সেল হবে না যার ফলে আপনার লস হতে পারে। এর জন্য আপনাকে সঠিক মূল্য নির্ধারণ, উপাদান সরবরাহ, মার্কেটিং পরামর্শ নির্ধারণ করতে হবে। এসকল কার্যকম মেনে কাজ করলে আপনিও অনলাইনে ই-কমার্স ব্যবসা করতে সক্ষম হবেন।
৪। স্পন্সরশীপ নিয়ে আয়
স্পন্সরশীপ হলো কোনো একটি কোম্পানি বা ব্র্যান্ড এর পণ্য বিভিন্ন সোসাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিজ্ঞাপন করে ঐ পণ্যের পাবলিসিটি করে দেওয়া। সাধারন ভাবে বলতে গেলে, যখন কোনো পণ্য বা গেজেট বাজারে আমদানি করা হয়। তখন অনেক মানুষই ঐ পণ্যের সম্পকে জানে না। তখন ঐ কম্পানিগুলো বিভিন্ন মার্কেটার বা ওয়েবসাইট দিয়ে ঐ সকল পণ্যের পাবলিসিটি বাড়িয়ে নেই। এতে পন্যটি বেশি সেল হয়। এবং কোম্পানির লাভ হয়। এর ফলে ওয়েবসাইট এর মালিকগন একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা নিয়ে থাকে।
স্পন্সরশীপ অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি একটি কোম্পানি জন্য খুবই উপকারী। যখন কোনো কোম্পানি স্পন্সরশীপের বিজ্ঞাপন করে তখন তার ব্র্যান্ড এবং সকল পণ্য ভীষনভাবে জনপ্রিয়তা লাভ করে। এতে কোম্পানির বিজ্ঞাপনে প্রদর্শিত হওয়া পণ্য দেখে অনেকে তাদের ব্র্যান্ড এবং সেবা সম্পর্কে জানতে পারে এবং তাদের কাছে থেকে পণ্য ক্রয় করে এতে কোম্পানি অনেক মুনফা লাভ করে।
৫। প্রোডাক্ট রিভিউ
আপনি কি জানেন প্রোডাক্ট রিভিউ করে আপনি একটি ওয়েবসাইট থেকে ভাল টাকা আয় করতে পারবেন। হ্যাঁ ঠিকই শুনছেন, আপনি প্রোডাক্ট রিভিউ করে মাসে ভাল মানের একটি আয় জেনারেট করতে পারবেন। একজন ওয়েবসাইট প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে আমি আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, যে টাকা উপার্জনের জন্য এটি একটি সহজতম কাজ যা সবচেয়ে করতে সবচেয়ে কম শ্রম প্রয়োজন হবে।
আরও পড়ুনঃ Best Ways To Facebook Followers Increase Bangla 2023 || ফেসবুকে ফলোয়ার বাড়ানোর উপায়
প্রোডাক্ট রিভিউ লেখার জন্য আপনাকে প্রথমে আপনার পছন্দের প্লাটফর্ম যেমন (Daraz, Amazon, Bd Shop) থেকে আপনার ইচ্ছামত প্রোডাক্ট খুঁজে বের করতে হবে। এরপর আপনাকে প্রোডাক্টটি ব্যবহার করে নিজের অভিজ্ঞতা লিখে নিতে হবে। প্রোডাক্টটি ব্যাবহার না করলে অনলাইন থেকে এর একটি রিভিউ ভিডিও দেথে নিলেই হবে। আপনি যেমন করে প্রোডাক্ট ব্যবহার করবেন , এর বিস্তারিত সুন্দর করে লিখে ওয়েবসাইট এ পাবলিশ করবেন । আপনি লিখতে পারেন প্রোডাক্টের গুণগত বৈশিষ্ট্য, উপভোগ্যতা, পারফরমেন্স, সমস্যা ইত্যাদি বিষয়ে। আর হ্যাঁ একটি জিনিস মাথায় রাখতে হবে যে, প্রতিটি প্লাটফর্মের নিয়মাবলী একই নয়, এজন্য প্রোডাক্ট রিভিউ লিখার সময় আপনাকে তাদের নিয়ম মেনে চলতে হবে।
আমাদের পক্ষ থেকে কিছু কথা
আশা করি আমরা আপনাদের ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করা সর্ম্পকে বুঝাতে সক্ষম হয়েছি। আজকের আর্টিকেল টি যদি আপনাদের ভাল লেগে থাকে, তাহলে অব্যশই একটি কমেন্ট করে যাবেন। এবং ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম সর্ম্পকে যদি আরো ও জানতে চান হলে আমাদের ফলো করতে পারেন। আপনাদের যদি ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করা সর্ম্পকে আরো কিছু প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে অবশই আমাদের সাথে যোগাযোগ করে জেনে নিতে পারেন, আমরা অব্যশই উত্তর দেয়ার চেষ্টা করব। ধন্যবাদ